ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে
ড্রাইভিং লাইসেন্স ঃড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে মাত্র কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে। কি কি সেগুলো?
প্রথমে আপনাকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। এজন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করে
ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।
বিআরটিএ’র ওয়েবসাইট বা বিআরটিএ অফিস থেকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। ফর্মটি বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে। এটি পূরণ করে নির্দিষ্ট ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
শিক্ষানবিস লাইসেন্স করার জন্য একটি গাড়ির ক্ষেত্রে ভ্যাটসহ ৩৪৫ টাকা। দু’টির গাড়িওমোটরসাইকেল ভ্যাটসহ ৫১৮ টাকা। তবে লাইসেন্স প্রথমটি না করে দ্বিতীয়টি করাই ভাল। এতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল উভয় যান চালানোর অনুমোতি পাবেন।
শিক্ষানবিশের মেয়াদ থাকে ৩ মাস।
শিক্ষানবিস থেকে পূর্ণমেয়াদের লাইসেন্সের দু’টি ভাগ রয়েছে। একটি অপেশাদার এবং অন্যটি পেশাদার। অপেশাদার লাইসেন্স ফি ২ হাজার ৩০০ টাকা। আর পেশাদার লাইসেন্স ফি ১ হাজার ৪৩৮ টাকা।
লাইসেন্স নাম্বার ও তারিখ কর্তৃপক্ষ পূরণ করবে এবং লাইসেন্স ফরমের সাথে ফি জমা দেওয়ার কাগজ, বয়স প্রমাণের কাগজ এবং ঠিকানা প্রমাণের কাগজ যুক্ত করতে হবে।
সাথে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ, সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে। এর সাথে একটি মেডিকেল রিপোর্ট যুক্ত করতে হবে।
তিনটি পরীক্ষায় পাশ করার পর নির্ধারিত ফর্মে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
নির্ধারিত দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য উপস্থিত হতে হবে।
প্রক্রিয়া শেষে বিআরটিএ স্মার্টকার্ড ইস্যু করে। স্মার্টকার্ড পাওয়ার তারিখ এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।
প্রক্রিয়া শেষে বিআরটিএ স্মার্টকার্ড ইস্যু করে। স্মার্টকার্ড পাওয়ার তারিখ এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।
পেশাদার ড্রাইভিংঃ
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে মোটরযানের ওজনের ওপর ভিত্তি করে বয়সের সীমা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোটরযানের ওজন ২৫০০ কেজি’র নিচে হলে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে। আর মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি হলে বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি হলে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে।
তবে পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীকে প্রথমে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে। তারপর কমপক্ষে তিন বছর পর পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য তিনি আবেদন করতে পারবেন। এরপর মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে তিন বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
অপেশাদারের লাইসেন্সের মেয়াদ ১০ বছর অন্যদিকে পেশাদারের ৫ বছর। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে তা নবায়ন করতে হয়। এজন্য নির্ধারিত ফি দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্ধারিত ফরমে আবেদন, রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সাটিফিকেট, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সদ্যতোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি লাগবে।
স্মার্টকার্ড পাওয়ার জন্য অপেশাদার লাইসেন্সের আবেদনকারীদের প্রথমে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএ’র নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে জমা দিতে হবে। তারপর আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র নিয়মতান্ত্রিক হলে ওই দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) গ্রহণ করা হবে। তারপর স্মার্টকার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে মোবাইলে এসএমএস দিয়ে বিআরটিএ জানিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। সফলভাবে পরীক্ষা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হবে।
এভাবে আপ নি বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন: আরও জানতে দেখুন ভিডিও safedrivebd youtube channel